কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লোগো

ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। তবে গতকালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম বরিশাল বুলসের ম্যাচের ফলাফল হয়ত অনেক দর্শকরাই আঁচ করতে পেরেছিল। গতকাল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশাল বুলস টসে জিতে ব্যাটিং বেঁছে নেয়। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুর্দান্ত বোলিংযের সামনে যেন বরিশাল বুলস দিশেহারা অবস্থায় ছিল। মাত্র ২২ রান করে দলীয় সর্বোচ্চ রান করেছে কেভন কুপার। এছাড়া বাকি খেলোয়ারদের রান সংখ্যা ছিল হতাশাজনক। শাহরিয়ার নাফীসের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান তিন, ব্রেন্ডার টেলর রানের খাতা খুলতেই পারেননি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নয়, সাব্বির রহমান ও নাদিফ চৌধুরীর রান যথাক্রমে দশ, রনি তালুকদার দুই অংকের ঘরে (১৭) পৌঁছাতে পেরেছেন। তাইজুল ও মোহাম্মদ সামির ক্ষেত্রে তিন ও ছয় রানে সমাপ্ত হয় রানের খাতা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয় এর কারিগর বলা যায় দুই বিধ্বংসী বোলারকে। নোয়ান কুলাসেকারা ও আছার জায়িদি। নোয়ান কুলসেকারা মাত্র তিন ওভার বল করে এক মেডেন সহ আট রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন।
অপরদিকে আছার জায়েদি চার ওভার বোলিং করে ষোল রান দিয়ে তিন উইকেট পান। তাদের পরেই উইকেট শিকারীর তালিকায় আছেন আবু হায়দার রনি। তিনি নিয়েছেন দুটি উইকেট। ১৮.৩ ওভারেই বরিশাল বুলস ৮৯ রানে গুটিয়ে যায়।লক্ষ্য যখন সহজ তখন প্রতিপক্ষ স্বাভাবিক ভাবেই আত্মবিশ্বাসী থাকে।তারই প্রতিফলন দেখা গেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যে। এর আগের ম্যাচে বরিশাল বুলসের হ্যাট্রিক বোলার আল আমিনের নতুন সম্ভাবনা দেখতে সবাই উদগ্রীব ছিল। কিন্তু প্রতিদিন এক ভাবে যায় না বলেই আল আমিন কে এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক উইকেট পেয়েছেন কেভন কুপারও। তবে বরিশাল বুলসের আর কোন বোলার উইকেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। উইকেটে যখন মারলন স্যামুয়েলস তেইশ রানে ছিলেন শুভাগত হোম তখন বার রানে অপরাজিত। তের বল হাতে রেখেই কুমিল্লা ভিক্টোয়ান্স জয় পায় তুলনামূলক ভাবে সহজেই।

আপনার মতামত দিন