তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন

তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন

তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন
২০১৫ সালের অন্যতম সেরা ওপেনার ব্যাটসম্যান হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তামিম ইকবাল। বিশ্বের সেরা ক্রিকেট প্রতিবেদক ওয়েব সাইট ক্রিকইনফোর জরিপে দেখা গেছে যে, এ বছরের যে সকল সেরা ওপেনার ব্যাটসম্যান আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে তামিম অভাবনীয় রেকর্ডের পাহার বানিয়েছেন । দেশের এবং বৈদেশিক প্রিমিয়ার লীগ ও তিনি খেলেছেন। তামিম ইকবাল সব সময় বাংলার মানুষের জন্য কিছু সুন্দর মুহূর্ত দেওয়া চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, সহ আর অনেক অনেক ভালো খেলোয়াড়ের কারনে আজ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সারা বিশ্বের কাছে সু-পরিচিত। আসুন এবার তামিম ইকবল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনেনি।

তামিম ইকবাল এর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য।

তামিম ইকবাল ১৯৮৯ সালে ২০ মার্চ চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (বয়স ২৬)। তিনার পূর্ণ নাম তামিম ইকবাল খান। বাবার নাম ইকবাল খান ও মায়ের নাম নুসরাত ইকবাল। চাচা সাবেক বাংলাদেশী ক্রিকেটার আকরাম খান। এবং ভাই নাফিস ইকবাল, তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। এবং স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী। তিনি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। তামিম ইকবাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। ২০১৫ সালের মার্চ, মোতাবেক তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪,০০০ রান সংগ্রহকারী দ্বিতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসাবে রেকর্ড গড়েন। এছাড়া তিনি মুশফিকুর রহিমের পর বাংলাদেশের ২য় ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে দ্বি-শতক রানের মালিক হয়েছেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বাধিক ২০৬ রানের অধিকারী তিনি।

তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট জীবন

২০০৯ মৌসুমের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিম ইকবাল তার প্রথম টেস্ট শতক করেন। খেলোয়াড় ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে বিবাদের কারণে ক্যারিবীয় দলটি যদিয়ও খানিকটা দুর্বল ছিল। এ ম্যাচে সেদিন ৭ জন খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো। তামিমের ব্যাটিং বাংলাদেশকে এক ঐতিহাসিক বিজয় এনে দেয় এই ম্যাচে। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয় এবং দেশের বাইরের মাটিতেও প্রথম টেস্ট জয়ের রেকর্ড। তামিম ১২৮ রানে তার ইনিংস শেষ করেন এবং ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন এ অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কারণে। নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, “উইকেট যথেষ্ট ফ্ল্যাট ছিল। আপনি যদি খেলায় ঠিকমত মনোনিবেশ করতে পারেন এবং সোজা ব্যাটে খেলেন, নিশ্চয়ই আপনি বড় স্কোর করতে পারবেন। আমার বয়স এখন বিশ এবং টেস্ট খেলেছি মাত্র ১১টি। আশা করছি, এরকম আরো অনেক ইনিংস আমি দলকে উপহার দিতে পারবো। তামিম ইকবলের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের শতক অর্জন করেন আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে। ভারত, শ্রীলঙ্কা নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক “জেমি সিডন্স” তার সম্পর্কে বলেছেন, “তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিকমানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হবার যোগ্যতা আছে”। এর পর ২৫শে জানুয়ারি “তামিম ইকবাল” “জুনায়েদ সিদ্দিকীক” কে সঙ্গী করে ভারতের বিপক্ষে ১৫১ রানের জুটি গড়ে রেকর্ড করেন। ১৩ই মার্চ, ২০১০ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮৬ রানের একটি  সুন্দর ইনিংস খেলে তামিম ইকবাল “১০০০” রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ মাইলফলক শুধুমাত্র “শচীন তেন্ডুলকর” এবং “মোহাম্মদ আশরাফুল” তারচেয়েও কম বয়সে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। এই টেস্টেরই দ্বিতীয় ইনিংসে ও পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে তামিম পরপর দুটো সেঞ্চুরি করেন একটি ১০৩ ও অনন্যটি ১০৮ রানের। তামিম ইকবাল ৪টি ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি করার সুযোগ পান ২০১২ সালে এশিয়া কাপে এবং বাংলাদেশ ২য়বারের মতো কোনো ত্রি-দেশীয় ক্রিকেট সিরিজের ফাইনালে উঠে।

তামিম ইকবাল এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ।

তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ ক্রিকেট অংশগ্রহণ করেন ২০০৭ সাল এবং ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলায় ৫৩ বলে ৫১ রান করেন, যা ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পরাজিত করতে বিশেষ অবদান রাখে।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করেন, যেখানে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।

তামিম ইকবাল খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান।