টাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএল

টাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএল

বিতর্ক বোধ হয় এবারো পিছু ছাড়ল না বিপিএলের। ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিপিএলের তৃতীয় আসর শেষ হয় ১৫ ডিসেম্বর। বিপিএলের এবারের আসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই বিদেশী খেলোয়ারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়েছে। এ ঘটনা রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচারের মামলায় অভিযুক্ত। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের তৃতীয় আসরে মোট ৬৫ জন বিদেশী খেলোয়ার অংশ নিয়েছেন। যাদের পারিশ্রমিক ছিল ত্রিশ থেকে সত্তর হাজার ডলার। যার মধ্যে এবারের বিপিএলের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ জন বিদেশী খেলোয়ার তাদের পারিশ্রমিক নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়েছেন। আর এই নয় জন খেলোয়ারই ছিলেন বরিশাল বুলসের অধীনে। বরিশাল বুলসের এসকল বিদেশী খেলোয়ারের পারিশ্রমিক হিসেবে মোট পাওনা ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল বা তাদের বিদেশী খেলোয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নেননি। টাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএল পড়ার কারন হল এই অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা। বিপিএলের বিদেশী খেলোয়ারদের পারিশ্রমিক পরিশোধের জন্য এনবিআর কে ৩০% ভ্যাট দিতে হবে। এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গুলোকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অন্যথায় এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত হবে দল ও খেলোয়ার গুলো।
বিপিএলের অর্থ বন্টন তদন্তের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কমিটিতে আছেন রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা। আজ ৪ জানুয়ারী হতে এই তদন্ত কাজ শুরু হবে। এ উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা বিপিএলের এবারের আসরে কিভাবে ও কি পরিমান অর্থ লেনদেন হয়েছে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর সাথে কথা বলে অর্থপাচারের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবেন।

টাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএলটাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএলটাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএলটাস্কফোর্সের কবলে এবারের বিপিএল

আপনার মতামত দিন