টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির নতুন রেকর্ড

টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির নতুন রেকর্ড হয়ে গেলো চোখের পলকে। টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির নতুন রেকর্ড এর দাবীদার হতে পারতেন মার্টিন গ্যাপটিল। কিন্তু মাত্র মিনিট বিশেকের ব্যাবধানে সব রেকর্ডের হিসেব নিকেশ উলোট-পালোট হয়ে যায়। ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে মাত্র তেইশ বলে ফিফটি করেছিলেন অ্যারন রেড মণ্ডও। তারপরের বছরই অ্যারন রেড মণ্ডও এর রেকর্ডের পাশাপাশি নিজের নামটিও লেখান মার্টিন গ্যাপটিল। প্রায় পাঁচ বছর রেকর্ডটি অক্ষুন্ন থাকার পর নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙ্গলেন গ্যাপটিল। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অকল্যান্ডে মাত্র উনিশ বলে করে ফেলেন অর্ধ শতক। বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ারে সুবাতাস বইছে গ্যাপটিলের। একের পর এক রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি যুক্ত হলো তার আরেকটি রেকর্ড। উনিশ বলের এই হাফ সেঞ্চুরীতে ছিল ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার সমাহার। কিন্তু রেকর্ড ভাঙ্গা গড়ার খেলায় নিশ্চয়তা কতটুকু রেকর্ড স্থায়িত্বের? গ্যাপটিল পঁচিশ বলে তেষট্টি রান করে তার রানের চাকা থামান। তার পর পরই মাঠে নামেন কলিন মুনরো। মুনরো পাল্টে দিলো গ্যাপটিলের সমীকরণও। মাত্র আট বলে ছয়টি ছক্কার মার দেখেন দর্শকরা। কলিন মুনরো কিছু সময়ের ব্যাবধানে রেকর্ডটি নিজের করে নেন। মাত্র ১৪ বলে তিনি টি-টোয়েন্টির দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরীটি করেন। শ্রীলঙ্কান বোলার দুষ্মন্ত চামিরার বোলিংয়ে ছক্কা হাকিয়ে পঞ্চাশ রান করেন কলিন। সেই সাথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে নিজেদের সিরিজ নিশ্চিন্ত করেন। শুধু গ্যাপটিল কিংবা কলিন মুনরো নয় উইলিয়ামসনও কম তান্ডব চালাননি শ্রীলঙ্কার উপরে। একুশ বলে বত্রিশ রান করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেল ম্যাথুসের উনপঞ্চাশ বলে একাশি রানের বদৌলতে শ্রীলঙ্কা ১৪৩ রান করেন। নিউজিল্যান্ড পর পর দুটি রেকর্ডের বদৌলতে ১৪৭ রান তুলে নেন মাত্র ১০ ওভারে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে কেবল নিউজিল্যান্ডেরই আধিপত্য। কোন কোন এক তরফা ম্যাচেও দর্শকদের উপভোগের অনেক কিছু থাকে থাকে।

আপনার মতামত দিন