এমন দিনে কিইবা বলা যায়। আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবার জোগাড়! তবুওতো এটা ক্রিকেট। বাংলাদেশ প্রফেশনাল ক্রিকেট খেলে। প্রথমবার কোন বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে যাবার আনন্দ থামিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হবার আনন্দে ভাসার পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ!
সম্ভাবনা না বাংলাদেশ দলের ইচ্ছাশক্তিই হল পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপাতে চুমু খাওয়া। টানা দ্বিতীয় জয়, তৃতীয় হতে পারত জিততে জিততে পাকিস্তানের সাথে হেরে না গেলে। সাকিবের ক্ষুধা যেনো দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানের সাথে অসামপ্ত কাজ করলেন ভারত এবং শ্রীলংকার সাথে। ৪৯ এবং ৫৬ রানের ইনিংস পাকিস্তানের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে।
গত কিছুদিন বাংলাদেশ মানেই সাকিব হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ভাল খেলেছে আর সাকিব সেদিন কিছুই করেনি এরকমটা বিরল হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিসাবটা আরও পরিস্কার। ২০০৯ সালের পর থেকে বড় দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ জিতেছে তার ৬ টিতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ সাকিব। ২০০৬ সালে সাকিব ক্রিকেটে এসেছেন। পাকিস্তানের সাথে সেবার অসাধরণ এক সেঞ্চুরী করে নিজের আগমন জানান দিয়েছিলেন। সেদিনটা যদি কারও চোখে ভাসে তবে সেই কেবল বুঝবে সেদিনের ইঙ্গিতটা কতটা বাস্তব।
সাকিবের আগে অনেক ভাল ক্রিকেটার এসেছিলেন। তবে বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াতে পারেননি অথবা হারিয়ে গেছেন অদৃশ্য কোথাও। কিন্তু সাকিব এলেন দেশ চিনল, বিশ্ব চিনল! সত্যিকার তারকার সবকিছু সাকিব নিজের ঝুলিতে নিয়েই আসলেন। ম্যাচ জেতার পর অতি খুশী হন না। আজকে জেতার পর পরের দিন জেতার কথা ভাবেন। তিনিইতো আইকন ক্রিকেটার।
লাল সবুজ টুপি পড়ে প্রাইজ নিতে এসে চ্যাম্পিয়ন হবার ব্যাপারে বললেন, “কোন কিছুই অসম্ভব না।” সাহসী যোদ্ধার তলোয়ারের নিচে আসলেই কোন কিছুই অসম্ভব না!