রেস টু ফাইনালের ম্যাচে টসে জয় লাভ করে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিছু বুঝার আগেই ২ উইকেট পতন। ইনিংসের প্রথম বলেই সোহাগের ঘূর্নিতে বোল্ড ওপেনার দিলশান। আশরাফুল দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে চিগাম্বুরার বলে ক্যাচ দিলেন। ১ রানে ২ উইকেট। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬ ওভারে রান ৫৮। সাকিব সোহাগের উপর ঝড় তুলে ১২ বলে ৩৮ রান তুলে সাজিদুল ইসলামের বলে বোল্ড। গেইল-সাকিবের জুটি থেকে আসে ৬২ রান। সাজিদুলের পরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান ড্যারেন স্টিভেন ক্যাচ দিলেন। ১ রানের ব্যবধানে আউট এনামুল। পাচ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে অবিচল গেইল। ক্রিজে গেইল আর কিরণ পোলার্ড রান বাড়াতে যুদ্ধ করছেন। ১০ ওভারে ৬৮ রান, ৫ উইকেট। গেইল ২২ বলে ২২ আর পোলার্ড ২ রান করেছেন। পোলার্ড ১৭ বলে ১৮ রান করে স্পিনার নাবির বলে ক্যাচ দিলেন। ৬ষ্ঠ জুটিতে গেইল-পোলার্ড যোগ করলেন ৫৬ রান। গেইল এর আগেই ৩৫ বলে ৪টি চার ৩টি ছয় দিয়ে ফিফটি করে ফেলেছেন। শেষ দিকে মাশরাফিকে সঙ্গে নিয়ে গেইল নামজুল হোসেন মিলনকে মেরেই চলেছেন। ১৬.১ ওভার থেকে পর পর চার বলে চার ছক্কা। ৪৬ বলে ৫চি চার আর ১০টি ছয় দিয়ে সেঞ্চুরি। মিলন এক ওভারেই দিলেন ২৯ রান। গেইল ৫১ বলে ১১৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বিদাল নেন। ১২ টি ছয় ও ৫টি চারে গেইল ঝড়ো এই ইনিংস খেলে মোহাম্ম্দ নবীর শিকার হন। শেষ পর্যন্ত মাশরাফি, থমাস আর সাকলাইনরা বেশি রান যোগ করতে পারেনি। গেইলের ব্যাটে ভর দিয়েই ঢাকা সিলেটকে ১৯৮ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়।
পাহাড় সমান টার্গেট তাড়া করতে নেমে সিলেট ২৮ রানে ২ উইকেট হারায়। চন্দ্ররপল ৫ রানে মাশরাফির বলে এবং স্টারলিং ১৬ রানে থমাসের বলে আউট হয়ে ফিরে যান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মুশফিক ও ডোয়াইন স্মিথ ৫১ বলে ৮২ রান যোগ করেন। দশ ওভারে সিলেট ২ উইকেটে ৭৩ রান সংগ্রহ করে। শেষ ৬০ বলের বিপরীতে ১২৫ রানের খেলতে নেমে সিলেট তেরতম ওভারে স্মিতকে হারায়। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে মোশাররফ রুবেলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক মুশফিক একপাশ আক্রমণাত্তক খেলে ২৪ বলে ৫০ রান তুলে নেয়। অর্ধশত রানের ইনিংস খেলতে মুশফিক ৪ চার ও ৩ ছয়ের মার মারেন। শেষ ৩০ বলে ৬৬ রানের বিপরীতে সিলেট ৬১ রান করতে সক্ষম হয়। মুশফিকুর রহিম ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে ২৪ রানের প্রয়োজনে সিলেট রয়েস ২০ রান করেন। মাশরাফির প্রথম দুই বলে চিগাম্বুরা দুই ছয় হাকান। এরপরের বলটিতে রান নেন। মুশফিককে বাউন্স দিলে তা ওয়াইড হয়। পরের বলে মুশফিক ক্যাচ দিলেও তা নো বল হয়। ফ্রি হিট পেয়েও চিগাম্বুরা ২ রানের জন্যে দৌড় দিলে রান আউট হয়ে ফিরে যান মুশফিক। ২ বলে ৭ রানের প্রয়োজন্যে ব্যাটিং করে ক্যাচ উঠালে রকিবুল তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়। ২ রান নেয় ব্যাটসম্যান। শেষ বলে প্রয়োজন ৫ রান। একই জায়গায় ক্যাচ দিলে এবার ক্যাচ নেন স্টিভেন্স। ৪ রানের জয় পায় ঢাকা।
আজকের সকল পুরস্কার গেলো ক্রিস গেইলের দখলে । ম্যান অব দ্যা ম্যাচ – ক্রিস গেইল ১১৪ রান । সবচেয়ে বড় ছক্কা – ক্রিস গেইল ১০৩ মিটার । সবচেয়ে বেশী ছক্কা – ক্রিস গেইল ১২ টি ।