শ্রীলংকান টার্ম বোলার অজন্তা মেন্ডিসকে গতকাল একটি চার মেরে আশরাফুল ৪৬ থেকে ৫০ এ পৌছেছিলেন গতকাল। আজকে তৃতীয় দিনে ৬৭তম ওভারে সেই মেন্ডিসকেই আবার কভার দিয়ে ড্রাইভ করে ৯৮ থেকে ১০২ তে পৌছালেন। ষষ্ঠ শতক।
শতক ছয়টি। এক শ্রীলংকার বিপক্ষেই ৫টি। বাকি একটি ভারতের বিপক্ষে চিট্টগ্রামের মাটিতে। ২০০১ সালে কলোম্বোর এস,এস,সি মাটিতে অভিষেকের ম্যাচে সর্বোকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে শতক হাকিয়ে যে রেকর্ডটি করেছেন তা এখনও ছুতে পারেনি কেউ। আর আজ শ্রীলংকার গল মাঠে আরেকটি শতক হাকিয়ে নিজের নামের পাশে আরেকটি নম্বর যোগ করলেন।
বাংলাদেশ শ্রীলংকা সফরের জন্যে বিপিএল(বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ) নির্বাচক প্যানেল ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেন। বেশ কিছু সংখ্যাক নতুন মুখ থাকলেও ছিলেন না মোহাম্মদ আশরাফুল। বিপিএল শেষের ১৫ জনের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করে। সেই দলে ছিলেন নাঈম ইসলাম। কিন্তু বিসিএল(বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ) চলাকালীন সময়ে ইনজুরিকে পড়া নাঈমকে আর দলের সাথে না নিয়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলা মার্শাল আইয়ুবকে দলে নেয় প্রধান নির্বাচক। সেখানেও আশরাফুল ছিলেন উপেক্ষিত। পরদিন শাহরিয়ার নাফীস কপাল খুলে দেয় আশরাফুলের। ব্লেড দিয়ে ব্যাট পরিষ্কার করতে গিয়ে হাত কেটে ফেলে মাঠের বাহিরে যেতে হয় নাফীসকে।
দলের সাথে একদিনের অনুশীলনে উড়ে আসে শ্রীলংকায়। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দলের পক্ষে একমাত্র শতক হাকিয়ে মূল একাদশে জায়গা করে নেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের সাথে শেষ টেস্ট খেলা এই ব্যাটসম্যান গতকাল বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন। শ্রীলংকার করা ৫৭০ রানের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে জহিরুল ইসলাম দলীয় ২৩ রানে বিদায়ের পর ব্যাটিং করতে নেমে গতকাল পর্যন্ত করেছিলেন ৬৫ রান। আজ খেলতে নেমে বাকি ৩৫ রান করে তুলে নিলেন শতকও । ১৮১ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের আরেকটি শতক।
৩য় দিন শেষেঃ
বাংলাদেশঃ ৪৩৮/৪
মোঃ আশরাফুল ১৮৯, মুশফিকুর রহিম ১৫২ রানে অপরাজিত
শ্রীলঙ্কা ৫৭০/৪ ডিক্লেয়ার