আজ শনিবার রাত পোহালেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামছে। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে এশিয়ার দুই দল; ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ২০১২ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপেরও ফাইনালিস্ট ছিল শ্রীলঙ্কা। অবশ্য গতবারই প্রথম নয়। ২০০৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেরও ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল সিংহের দল। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। এবার কি শিরোপার ক্ষরা কাটাবে শ্রীলঙ্কা। প্রশ্নটা অনেকরই। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানকে হারিয়ে একবারই শিরোপা ঘরে তুলে ধোনীবাহিনী। এরপর আর হয়নি। ২০১২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার ভারতকে পাওয়া গেল নতুন উদ্দ্যোমে। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত একটি ম্যাচও হারতে হয়নি বিরাট কোহলীদের। একই সাথে প্রতিপক্ষরা ভারতের সামনে দাঁড়াতেও পারেনি।
দুই ফাইনালিস্টের রোড টু ফাইনাল
ভারত
ভারতের জন্যে বিশ্বকাপের মিশনটা শুরু হয় হতাশা দিয়ে। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের পারফরমেন্স ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার সব মিলিয়ে মাঠে বিতর্কের উর্ধ্বে টিম ইন্ডিয়া। তবে এশিয়া কাপের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং এসেই পুরো দলকে পাল্টে ফেলে। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল পর্যন্ত। প্রতিপক্ষেকে হারিয়েছে হেসেখেলে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ ছিল ২ নম্বর গ্রুপ। গ্রুপে ভারতের সাথে ছিল পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মতো দল ছিল। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় ৭ উইকেট হাতে রেখে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৩ রানে জয় পায় ধোনীর দল। এরপর সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দাড়াতেই দেয়নি ভারত। ৬ উইকেটে জয় পায় হেসেখেলেই। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৩ রানের টার্গেট ছুড়ে দিলেও ভারত ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
শ্রীলঙ্কা
টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে তিনবার ফাইনালে উঠল লঙ্কানরা। তবে একবারও শিরোপার স্বাদ নেয়া হয়নি লঙ্কানদের। গত আসরে নিজের মাটিতে রানারআপ হয় শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বাগতিকদের হারিয়ে দেয়। গত আড়াই মাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজের পাশাপাশি এশিয়া কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। এবারও টুর্নামেন্ট শুরু থেকে জয়ের ধারায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে শ্রীলঙ্কা। তবে তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে চাপে পড়ে তারা। এরপর শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় শ্রীলঙ্কা। সেমিফাইনালে নিজেদের পারফরমেন্সের সাথে সাথে ভাগ্যদেবীর সহায়তায় সহজেই ফাইনালের টিকেট পায় জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারারা। প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান জমা করে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩.৫ ওভারে ৮০ রান তুলে নেয়। এরপর শুরু হয় বর্জ্রবৃষ্টি। মিরপুর স্টেডিয়াম ঢেকে যায় সাদা চাদরে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৭ রানে এগিয়ে থাকে শ্রীলঙ্কা।