২০১৫ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জন।

২০১৫ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জন।

২০১৫ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ২০১৫ বছরটা শুরু হয়েছিল জয় দিয়ে। বিশ্বকাপ শুরু করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল ১০৫ রানের জয়ের ব্যাবধানে । আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়লাভের পরের ম্যাচটা ছিল অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ব্রিসবেনে বৃষ্টির কারনে ম্যাচটি স্থগিত হয়। তবে আই সি সি এর নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ উপহার পেয়েছিল মূল্যবান একটি পয়েন্ট। এর পর অবশ্য এমসিজিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারতে হয় ম্যাশ বাহিনিকে। তার পরের স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে দুই জয়ে প্রথমবারের মতো পা রাখল বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে আলোচিত সেই কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়ের পরও তিন জয়ে বিশ্বকাপটা রঙিনই হয়েছিল ম্যাশদের। এরপর ঘরের মাঠে বিজইয়ের পালা! একেকটা ওয়ানডে সিরিজ মানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একেকটা বিজয়। এপ্রিল মাশে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পর সুযোগ আসে বিশ্বকাপে ভারতের সাথে সেয় স্মরণীয় ম্যচের কষ্ট ভুলার। জুনে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয় করে কিছুটা কষ্ট মিটিয়ে নেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে হেরেও ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় করে নিয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
এর পর নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ পারকরল জয়ের বছর। পরপর টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৮ ম্যাচে ১৩টি জয় এবং ৫টি হার দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পারকরল ২০১৫।
যেখানে সাফল্যের হার ছিল ৭২.২২। অস্ট্রেলিয়ার পরই সবচেয়ে সফল দলটির নাম বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৯ সালে ১৯টি ম্যাচ খেলে ১৪টিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ যেখানে ১০টি জয়ই ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩টি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সাফল্যের বিচারে এগিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এক বছরে টানা চার সিরিজ জয়ের রেকর্ডও গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
দলীয় আরও অনেক সাফল্য আছে বাংলাদেশের। এ বছরই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নয়টি ৩০০ ছাড়ানো ইনিংসের তিনটিই হয়েছে এ বছরে, এটিই এক বছরে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড। এ বছর প্রতি ৩৫.৭৯ রানে একটি করে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং এর গড় অনুসারে যা বাংলাদেশের সেরা। যেটি ২০১২ সালের উইকেটপ্রতি ছিল ৩১.৬৪ রান। ওভারপ্রতি রান তোলার ক্ষেত্রেও সেরা বছর ২০১৫, যা ছিল ৫.৫৯। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ২০১৩ সালে, ৫.৪৩।
ওয়ানডেতে বলার মতো অনেক কিছু থাকলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সে তুলনায় সাফল্যের বিচার খানিকটা কম। তবুও ক্রিকেটের বড় সংস্করণে এ বছরই বাংলাদেশ পেয়েছে সর্বোচ্চ চারটি ড্র। যদিও বেশির ভাগ ড্র এসেছে বৃষ্টির সহায়তায়। আর ৫ টি-টোয়েন্টিতে জয় হয়েছে দুটিতে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রেরণা, এপ্রিলে পাকিস্তানকে হারানো।
অন্য দুই সংস্করণে যে পারফরম্যান্সই হোক, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এতটাই উজ্জ্বল, যে ক্রিকেট প্রেমিদের কাছে ২০১৫ সালটি সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখর মত।
আগামীতে আমাদের ক্রিকেট টিম আর ভালো করুক এটায় সকলের প্রত্যাশা। ২০১৫

২০১৫ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জন।

একটি মতামত

আপনার মতামত দিন