ক্যারিয়ারে বহুবার সাজঘরে ফিরেছে ৮০ বা ৯০ রান করে। এই সময়ে আউট হওয়ার অনুভূতি অদ্ভুত। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলে যেমন আলাদা তৃপ্তি পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়াটাও কিছুটা আক্ষেপের জন্ম দেয়। ক্যারিয়ারের এই পর্যায় এসে মিশ্র অনুভূতির দোলাচল টের পাচ্ছেন তামিম ইকবাল।
এই যেমন ত্রিদেশীয় সিরিজের গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আউট হয়েছেন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ৮০ রান করে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বার আউট হলেন ৮০ ঘরে। আরেকটা সেঞ্চুরি হাত ছাড়া হওয়ার কারণে কিছুটা আফসোস নিয়ে তামিম জানান, “আশিতে আউট হলে আফসোস হওয়ারই কথা। বেশিরভাগ সময়ই নিজের দোষে আউট হয়েছি। এমন কিছু করতে গিয়েছি, যা করার দরকার ছিল না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য ছিল।”
গত ম্যাচে ঐ সময়ে আউট হওয়া নিয়ে তামিম আরো বলেন, “সবশেষ ইনিংসটিতে যেমন, যে বল ছিল, সেই শটই খেলেছি। ভাগ্য খারাপ ছিল যে সোজা ফিল্ডারর হাতে চলে গেছে। ভালো ক্যাচও নিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আফসোস ততটা থাকে না। সেঞ্চুরির চেয়ে আমার বেশি আফসোস থাকে বা ছিল খেলা শেষ করে আসতে না পারা।”
একবার ভেবে দেখুন তামিম যদি আশি ছোঁয়া স্কোরগুলোকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারতো তাহলে তামিমের নামের পাশে আরো কত গুলো সেঞ্চুরি যোগ হতো। তবে এই সব নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে চান না দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান। পরিসংখ্যানের খুঁটিনাটি নিয়ে পেছনে ফিরে তাকাবেন ক্যারিয়ার শেষ হলে।
“আফসোস হতে পারে হয়তো ক্যারিয়ার শেষে, যখন পেছন ফিরে তাকাব। যতবার আশিতে আউট হয়েছি, তার অর্ধেকও সেঞ্চুরিতে নিতে পারলে ক্যারিয়ার হয়তো আরও সুন্দর দেখাত। কিন্তু যা হয়ে গেছে, হয়েই গেছে। আফসোস করেও লাভ নেই। আশা করব যে সামনেও যদি সুযোগ আসে, ছুঁড়ে যেন না দেই। যদি ভালো বলে আউট হই বা ভালো শট খেলেও আউট হয়ে যাই, তাহলে অন্য কথা। কিন্তু ছুঁড়ে যেন না আসি।”