এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার মধ্যে একটি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়েছে। বাকি ৬টি ম্যাচের মধ্যে শুধু মাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষেই তাদের ১০ উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পিনার দেড় পাশাপাশী জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশ দলের পেসারাও। বাংলাদেশ দলের বোলিং উনিটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে যারপরনাই খুশি টাইগারদের স্পিন কোচ সুনীল যোশী।
বাংলাদেশ দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সুনীল যোশী বলেন, ‘একজন স্পিন কোচ হিসেবে আমি এর চেয়ে বেশি চাইতে পারি না। সন্দেহাতীতভাবে সাকিব একজন কিংবদন্তি। এটা অনেক বড় গর্বের বিষয় যে, বাংলাদেশে সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই সে ধারাবাহিক।’
সাকিবের প্রশংসা করে সুনীল যোশী আরো বলেন, ‘সাকিব তার ফিটনেসের উপর বেশ নজর রাখে। সম্প্রতি ৫-৭ কেজি ওজন কমিয়েছে। তার রানিং বিটুইন দ্য উইকেট দেখলেই বোঝা যায় সব। ক্রিকেটের প্রতি তার ক্ষুধার মাত্রা বেড়ে গেছে। তার উপস্থিতি আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পরের ম্যাচ শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। এই ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের স্পিনের বিপক্ষে দিতে হতে পারে কঠিন পরীক্ষা। এই ব্যাপারে সুনীল যোশী বলেন, ‘আমরা সবাই জানি তারা ভালো স্পিন করে। কিন্তু আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষেও দারুণ স্পিন বোলিং সফলতার সঙ্গে সামলেছি। সবচেয়ে বড় কথা সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ ইতোমধ্যেই দিয়েছি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমরা দেখিয়েছে আমরা কত ভালো দল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছি, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘরের মাঠে এবং তাদের মাঠেও হারিয়েছি। এ ছাড়াও শেষ ৩ বছরে ভারতকে আমরা বেশ কয়েকবার হারানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম।’
ভারতের স্পিনারদের সাথে বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের তুলনা করে সুনীল যোশী বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদেরও মানসম্পন্ন স্পিনার রয়েছে। তাদের আপনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? তারা যেমন দারুণ বোলিং করবে, আবার সেরকম দারুণ বল মোকাবিলাও করবে। প্রত্যেকটি দলেরই শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা আছে। আমি ভারত দলকে তো খুব কাছ থেকেই দেখেছি। আমি জানি তাদের বিপক্ষে কোথায় বল করতে হবে।’