দাপটেই চতুর্থ রাউন্ডে শারাপোভা ও সেরেনা

বাঁ-পায়ের গোড়ালির ইনজুরির কারণে প্রস্তুতিটা মনের মতো হয়নি শারাপোভার। তবে এতে আপাতত  অসুবিধা দেখা দেয়নি চতুর্থ সেরা এ তারকার খেলায়। কোর্টে গতকালও কুড়িয়েছেন সহজ জয়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে গতকাল  ৬-১ ও ৬-২ গেমে হারিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিক কেরবারকে। এ নিয়ে তিন ম্যাচে ৫টি মাত্র গেম হারলেন মারিয়া শারাপোভা। ইনজুরি ফেরত আরেক তারকা সেরেনা উইলিয়ামসও সহজ জয় পেয়েছেন এদিন। অবাছাই গ্রেটা আর্নকে হারান ৬-১ ও ৬-১ গেমে। সেরেনাকে খেলার শেষ পয়েন্টটি ডাবল ফল্টে দিয়ে ৫৯ মিনিটেই হার মানেন এ হাঙ্গেরিয়ান। চতুর্থ রাউন্ডে শারাপোভার প্রতিপক্ষ জার্মানির সাবিন লিসিস্কি। আর পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা খেলবেন রাশিয়ার একাতারিনা মাকারোভার বিপক্ষে। এ বাধা পেরুলে ২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপাজয়ী শারাপোভা ও ১৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক সেরেনার দেখা হবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
বার্তোলি ও ভোনারেভার বিদায়
গতকাল অঘটনের শিকার হয়ে বিদায় নিয়েছেন শীর্ষ দশের দুই তারকা। রাশিয়ার একাতারিনার কাছে ৭-৬ (৭), ৬-১ গেমে ম্যাচ হারেন স্বদেশী তারকা ভেরা ভোনারেভা। অন্য ম্যাচে বিদায় নিয়েছেন ৯ নম্বর বাছাই ফ্রান্সের মারিয়ন বার্তোলি। তৃতীয় রাইন্ডের খেলায় চীনের ঝ্যাং জি’র কাছে ম্যাচ হারেন ৬-৩ ও ৬-৩ গেমে।
চতুর্থ রাউন্ডে জোকোভিচ, মারে, সোঙ্গা
রেকর্ড ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন ম্যাচের ঘটক নিকোলাস মাহুট। কিন্তু নিজের ৩০তম জন্মদিনে খেললেন তার উল্টো। অবশ্য তার প্রতিপক্ষ ছিলেন দুর্বার নোভাক জোকোভিচ। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় মাহুটকে হারাতে জোকোভিচ সময় নেন মাত্র ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট। জোকোভিচ জয় পান ৬-০, ৬-১ ও ৬-১ গেমে। ২০১০ সালের উইম্বলডনে পল ইসনারের কাছে হেরে যাওয়া মাহুটের ম্যাচটি গ্র্যান্ডস্লামের ইতিহাসে দীর্ঘতম। তবে গতকাল ম্যাচ শেষে বিশ্বের একনম্বর তারকা  জোকোভিচ জার্মান তারকা মাহুটকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান যথারীতি। তবে এতে নিজ দাপটের ইঙ্গিতও ছিল জোকোভিচের কথায়- তাকে (মাহুট) জন্মদিনের শুভেচ্ছা। রাতটি উদযাপন করতে পারবেন আশা করি।’   গতবছর টানা ৪১ ম্যাচ জয়ের শুরুটা করেছিলেন জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই। এদিন তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় পর্তুগালের ফ্রেডেরিকো জিল-এর বিপক্ষে ৬-২, ৬-২ ও ৬-২ গেমের জয় পেয়েছেন ষষ্ঠ বাছাই ও ২০০৮’র ফাইনালিস্ট উইলফ্রেড সোঙ্গা। অন্য ম্যাচে জয় নিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেছেন চতুর্থ বাছাই ও গত দুইবারের ফাইনালিস্ট অ্যান্ডি মারে। ফ্রান্সের মিশেল লডরাকে ৬-৪, ৬-২ ও ৬-০ গেমে হারান বৃটেনের স্কটিশ এই তারকা।

আপনার মতামত দিন