৩ উইকেটে শ্রীলঙ্কার জয়

বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২০৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৬ বল ও  ৩ উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। অসাধরণ এক ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জলো ম্যাথুস। ১০৩ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।স্কোরবোর্ডে অল্পরান। শ্রীলঙ্কা শিবিরে আঘাত করতে হবে দ্রুত। অল্পতেই যেন বোলাররা বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন।যেই কথা সেই কাজ। ইনিংসের দ্srilanka criবিতীয় বলে সাজঘরে কুশল পারেরা।যিনি তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতকও হাকিয়েছিলেন। আল-আমিনের বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন কুশল। এক ওভার পর আবারো বোলিংয়ে এসে সাঙ্গাকারাকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব নিলেন আল-আমিন। ২ রানে প্রথম স্লিপে নাসিরের তালুবন্দি সাঙ্গা।এরপর মাহমুদুল্লাহ কারিশমা। অফ ফর্মে থাকা জয়াবর্ধনকে রান করলেন অসাধরণ এক থ্রোতে। ড্রাইভ দিয়ে নিশ্চিত চার বাচানোর সাথে সাথে নিঁখুথ থ্রোতে বল রুবেলের হাতে। বাকি কাজটুকু দক্ষতার সাথে সাড়েন রুবেল। ৮ রান তুলতেই বিদায় ৩ লঙ্কান। এরপর থিরিমান্নে ও আশান প্রিয়াঞ্জন মিলে চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রান জমা করে। জুটি ভাঙ্গেন জিয়াউর রহমান। দলীয় ৪৭ রানে জিয়াউর রহমানের আউট সুইংয়ে পরাস্ত প্রিয়াঞ্জন (২৪)। পঞ্চম উইকেট দলকে ৭৫ রান পযন্ত টেনে নেন থিরিমান্নে ও ম্যাথুস। এরপর রুবেলের লং অনে অসাধারণ ক্যাচে সাজঘর মুখী হন থিরিমান্নে।জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা বাংলাদেশের সাথে নতুন দেয়াল তৈরি করে ম্যাথুস ও চাতুরাঙ্গ ডি সিলভা। ধৈয্য ধরে খেলে ১৬.২ বলে ৮২ রান যোগ করেন তারা। বাংলাদেশের থেকে এক প্রকার জয় ছিনিয়ে আনেন তারা।১৫৭ রানে চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ক্যারিয়ারের সেরা ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন। অবশ্য ১ রান আগেই বিদায় নিতে পারতেন তিনি যদিনা আল আমিন স্কয়ার লেগে তার ক্যাচ না ছাড়তেন।এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২০৪ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে ওপেনার আনামুলের ব্যাট থেকে। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দুই ওপেনার শামসুর রহমান ও আনামুল হক বিজয়। ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা ইমরুলের অভাবটাও অনুভব হয়নি। শামসুর রহমান ও আনামুল হক বিজয় ৭৪ রান জমা করে। এই জুটির এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে চারবার এক সাথে মাঠে নামলেও এই জুটির সর্বোচ্চ রান ছিল ১৭। ইনিংসের ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেন্ডিসের বলে এলবিডাব্লিউ’র শিকার হন শামসুর রহমান শুভ (৩৯)। একই ওভারের ষষ্ঠ বলে মেন্ডিসের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুমিনুল হক (১)। দলীয় ৭৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১১৯ পযন্ত যেতেই আরও তিন উইকেট হারায়। সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম (৪), আনামুল হক বিজয় (৪৯) ও সাকিব আল হাসান (২০)। আগের ম্যাচে শতক হাকানো আনামুল ৪৯ রানে থিরিমান্নের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন। আশান প্রিয়াঞ্জনের বলে মিড উইকেটে তালুবন্দিন হন আনামুল। ৮৬ বল ২ চার ও ১ ছয়ে এ রান করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল্লাহ ও নাসির হোসেন অর্ধশতক রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের রানের চাকাকে সচল রাখেন। ৫৫ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। অনেক দিন পর রান পাওয়া মাহমুদুল্লাহ শুরুটা ভালো করলেও ৩০ রানের বেশি করতে পারেনি। ৪১ বলে ২ রানে ৩০ রান করে লাকমালের বলে বোল্ড হন। মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর টিকতে পারেনি নাসির হোসেনও। দলীয় ১৮৩ রানে লাকমালের বলে লং অনে ক্যাচ দেন নাসির (৩০)। এরপর জিয়াউর রহমানের ১২ রানের সুবাদে ২০৯ রানের স্কোর পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে থিসারা পারেরা, লাকমাল, মেন্ডিস ও আশান প্রিয়াঞ্জন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।

আপনার মতামত দিন