ম্যাচ জমিয়ে তুললো ওয়ালটন

দ্বিতীয় দিনের শেষে ৬২ রানের লিডের সাথে তৃতীয় দিন মধ্যহ্ন  বিরতী পর্যন্ত ৮২ রান যোগ করতেই পাচ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। সাত জন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেও ১৪৪ রান পেতেই ৭ উইকেটের পতন। টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ কি সেটা কি বোঝারই সুযোগ হয়নি ব্যাটসম্যান। ১৭ রানে আশরাফুল মধ্যহ্ন বিরতীর পর আর ২৪ রান যোগ করে ফিরে যান সানজামুলের বলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৭ রানে আটকে যায় ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। এ দলের খেলোয়াড় সানজামুলের বোলিং তোপে চলে যায় আট উইকেট। মাত্র ২০ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন ৮টি উইকেট। বাকি দুই উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। এর আগে ওয়ালটনের দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন প্রথম ইনিংসের শতকধারী রকিবুল। নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং-র বাহিরে এসে আক্রমণাত্তক ব্যাটিং করে ৬৮ রান তুলে ফরহাদ রেজার বলে ফিরে যান। ওয়ালটনের শেষ সময়ে ত্রাতা হয়ে উঠেন নুরুল হাসান সোহান। লোয়ার অর্ডারের সাথে ব্যাটিং করে ৫৫ রান তুলে নেন ৪ চার ও ১ ছয়ে।

দেড় দিনের মতো সময় হাতে নিয়ে মাত্র ২৫১ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে বিসিবি নর্থ ৩৬ রান তুলতেই টপ অডারের চার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায়। প্রথমে ফরহাদ হোসেন ৫ এবং মাইসিকুর রহমান ১৩ রানে ফিরে যান। ৩১ রানে দুই উইকেট চলে যাবার পর পাচ রান যোগ হতেই বোলাররা আরও দুই উইকেট তুলে নেন। ৩৬ রানে নাঈম ইসলাম ৫ এবং একই রানে সাব্বির রহমান ১২ রানে ফিরে যান। মোশাররফ রুবেল ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। ৩৬ রান থেকে ৭১ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান জাতীয় দলের দুই নির্ভার নাসির হোসেন এবং জহিরুল হক অমি। অধিনায়ক রুবেল সানীকে বোলিং এ আনেন। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন সানী। নাসির হোসেনকে উইকেটের পিছনে নুরুল হাসানের তালুবন্দি করিয়ে ফিরিয়ে দেন। ১৭ বলে চার চারে নাসির ১৯ রান করেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সানজামুলকে নিয়ে দ্রুত রান তুলে নেন অমি। ৪১ রানের জুটি গড়ার পর অমি আশরাফুলের বলে গালিতে ক্যাচ উঠিয়ে দেন। কিন্তু ফিল্ডার শুভাগত হোম ক্যাচ মিস করায় তা বাউন্ডারিতে চলে যায়। ৩৩ রানে জীবন পেয়ে অমি দিন শেষে ৩৯ রানে অপরজিত থাকে। সাথে সানজামুল ইসলাম ৪৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকে। ৫ চার ও ১ ছয়ে সানজামুল ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে দিনের বাকিটুকু সময় পাড় করেন অমি ও সানজামুল।

আপনার মতামত দিন