মুক্তিযোদ্ধা ও ব্রাদার্সের ড্র

গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মুক্তিযোদ্ধা । সাত ম্যাচে দশ পয়েন্ট খুইয়ে শিরোপা আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছেন ট্রেবল জয়ী শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হক। পয়েন্ট টেবিলে একই অবস্থানে মুক্তিযোদ্ধা। গতকালের ড্রয়ের ফলে  শেখ রাসেলের সমঅবস্থানে চলে যায় তারা। তবে এতে মারুফের মতো এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ দলটির কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। গতকাল এগিয়ে থেকে ব্রাদার্সের পয়েন্ট  খোয়ানোর পর এমন মন্তব্য করেন তিনি। মানিকের মতে সামনের দিনগুলোতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এই রাউন্ডে এগিয়ে থাকা দুই দল শেখ জামাল, আবাহনীর অনেক বড় ম্যাচ বাকি রয়েছে। ওই ম্যাচগুলোতে বোঝা যাবে গতি- প্রকৃতি। লীগের শুরু থেকে দারুণ খেলছেন মুক্তিযোদ্ধা বিদেশী ফুটবলাররা। বিশেষ করে দুই নাইজেরিয়ান সহোদর এলিটা কিংসলে ও নাখোচা কিংসলে  এবং তাদের স্বদেশী ডিফেন্ডার এটিলা Brothers(Blue) Vs Muktizoddha(Red) aবেনজামিনের কারণেই বদলে গেছে মুক্তিযোদ্ধা। এলিটা কিংসলের কল্যাণেই গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লিড পায় অলরেডরা। এনামুলের থ্রু ধরে আড়াআড়ি শটে গোলটি করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৫ মিনিটে সমতার সুযোগ হাতছাড়া হয় ব্রাদার্সের। ফয়সাল মাহমুদের ক্রসে ভিক্টরি অ্যান্থনির চমৎকার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে তখনই ম্যাচে সমতা ফিরতে পারতো। এরই মধ্যে পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। এনামুল হক অযথা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড লাল কার্ডে পরিণত হলে, ১০ জন হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধায়। ম্যাচে এটা যে টার্নিং পয়েন্ট, সেটা স্বীকারও করেছেন মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। ‘এনামুলের দায়িত্বহীনতার কারণেই ম্যাচে আমাদের দুই পয়েন্ট হারাতে হয়েছে বলেন- তিনি’। এনামুলের লাল কার্ডের পরই মুক্তিযোদ্ধাকে পেয়ে বসে ব্রাদার্স। বিশেষ করে দুই উইং দিয়ে ফয়সাল মাহমুদ ও রুবেল মিয়া দিশাহারা করে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডারদের। এরই ধারাবাহিকতায় ৬৯ মিনিটে জুয়েল রানার শট রুখে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন রাসেল মাহমুদ লিটন। তবে ৭৪ মিনিটে আর শেখ রক্ষা হয়নি অলরেডদের। ৭৪ মিনিটে ইউসুফ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দিলে কেস্টার আখন হেডে খেলায় সমতা ফেরান। সাত ম্যাচ পর গোল পেয়ে ভীষন খুশি এক মওসুম আগে শেখ জামালে খেলা এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। কেস্টার আখন গোল পাওয়াতে খুশি ব্রাদার্সের ভারতীয় কোচ সৈয়দ নাঈমুদ্দিনও। ‘আমি মাত্র তিন সপ্তাহ দলটি নিয়ে কাজ করার সময় পেয়েছি। এতে আস্তে আস্তে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেটা মনে হয় কাজে আসছে। ফিটনেস ফিরে পাওয়াতে গোল পেয়েছেন কেস্টার আখন- বলেন নাঈমুদ্দিন।’ পিছিয়ে পড়েও মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেয়াকে ভাল রেজাল্ট মানছেন সাবেক এই জাতীয় দলের কোচ। তার আশা সামনের দিনগুলোতে তার দল আরও ভাল করবে। মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করার ফলে সাত ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এলো ব্রাদার্স। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থানে মুক্তিযোদ্ধা। একই পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে এগিয়ে থাকায় তিন নম্বরে  শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আবাহনী। একম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দু্‌ই নম্বরে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। আইএফএ শিল্ড খেলতে যাওয়ার কারণে সপ্তম রাউন্ডেও মাঠে নামতে পারছে দলটি।

আপনার মতামত দিন