আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশের। বনের বাঘে খাওয়ার আগে মনের বাঘে খাবে না তো! এমন কথার ভিত্তি আসলেই কতটুকু? তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশের যথেষ্টই এই শঙ্কার কারণ রয়েছে। কেননা আফগানদের কাছে হারলে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশের। সে দিক বিবেচনা করলে, এই ভয়ই হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের হারের একটি বড়ো কারণ। বাংলাদেশের ভারপ্রপ্ত কোচ ও সহ-অধিনায়ক সেটি অস্বীকারও করছেন না বোটে। তবে এই ভয়কে উড়িয়ে দিয়ে তারা সিরিজ জিততে চান।
এদিকে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে। তবুও ক্রিকেট জাতি হিসেবে যেখানে অবস্থান, তাতে আফগানদের কাছে সিরিজ হারলে সেটিকে বাংলাদেশের জন্য বড় অপমানজনক ধরে নিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও সেটি জানেন। তাই সেই শঙ্কায় কাবু হওয়ার ভয়ও আছে তাঁদের। হারের ভয়েই হেরে যাওয়ার নজীর ক্রিকেটে আছে অনেক আগে থেকেই। তাই আরেকটি এমন নজির গড়তে চান না ভারপ্রপ্ত কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তিনি বলেন “আমাদের ওভাবে ভাবলে চলবে না। আর দশটা সিরিজের মতোই সিরিজ। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রাখতে হবে। হতে হবে আত্মবিশ্বাসী, হারার কথা ভাবাও চলবে না।”“আফগানিস্তান ভালো দল। তবে আমরা যদি নিজের শক্তি ও গভীরতা অনুযায়ী খেলতে পারি, আমরাই জিতব। হারের কথা ভাবলেই মনে সংশয় ঢুকবে, নিজেদের সেরাটা খেলা যাবে না।”
একই ভাবে সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এতটা গভীরভাবে ভাবতেই চাননা। এগোতে চান প্রতিটি ম্যাচে জয় ধরে। জিততে চান প্রতিটি চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন “আমি এটাকে খুব সাধারণভাবে নিই। আমি মনে করি, প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সামনে প্রশ্ন বোধক চিহ্ন ছিল। ওটা এখন সরে গেছে। সময়ের সঙ্গে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজও সুযোগ প্রতিটি ম্যাচ জেতার। এই সিরিজ জিতলে সুযোগ সৃষ্টি হবে পরের সিরিজ জয়ের।” সিরিজে বাংলাদেশের লক্ষ্যটাও সজরে জানিয়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, “একমাত্র লক্ষ্য সিরিজ জয়, আর লক্ষ্য নেই।”
